সৃষ্টির সুখ সীমাহীন। পৃথিবীতে মহৎ কিছু একদিনে সৃষ্টি হয়নি। সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় সিক্ত যারা, অসীম ত্যাগ-তিতিক্ষার বলে বলিয়ান হয়ে এ ধরাতে সৃষ্টি করেন নান্দনিক সৃষ্টিকর্মের অনন্য উদাহরণ। আলোকচ্ছটা চারিদিকে ছড়িয়ে দেয়ার পবিত্র মানসে মহৎ উদ্যোগী প্রাণ সম্পন্ন কিছু মানুষের ভালোবাসায় অনুরণিত হয়ে সৃষ্টি হয়েছে এ প্রতিষ্ঠান বগুড়া মহিলা কলেজ।
জন্মলগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত যারা তাদের সৃষ্টিকর্তার আন্তরিক প্রেরণার ছোঁয়া দিয়ে, দায়িত্বশীল ভূমিকা রেখে, অর্থবিত্ত দিয়ে, শৌর্য-বীর্য দিয়ে, প্রতিষ্ঠান কে এগিয়ে নেয়ার সহযোগিতায় ভূমিকা রেখেছেন তাদের জন্য ভক্তিপূর্ণ সংগ্রামী অভিবাদন, শ্রদ্ধাপূর্ণ সালাম আর শুভেচ্ছা।
সুযোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীবৃন্দ, শক্তিশালী সাংগঠনিক গভর্নিং বডি, সচেতন জ্ঞানী-গুণী অভিভাবকমণ্ডলী, এলাকার গণ্যমান্য সুধীজনের সৃষ্টিধর্মী কর্মকাণ্ডে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে করতোয়ার স্নেহধন্য কন্যাবেশে লালিত এ প্রতিষ্ঠান। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরা, শান্ত-মনোরম পরিবেশে অবস্থিত, শাসন-স্নেহের নির্মল সম্পর্কের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে প্রকৃত মানুষ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয়ে নারী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগমে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।
সৃষ্টিলগ্ন থেকে ক্রমান্বয়ে অগ্রগতির ধারা অক্ষুণ্ন রেখে প্রতিষ্ঠানটি নিরবিচ্ছিন্ন চলমান। আমি সর্বান্তকরণে বিশ্বাস করি, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সময়ের প্রয়োজনেই যুগোপযোগী ও লাগসই মান নিয়ে সারা উত্তরবঙ্গের মধ্যে বগুড়া মহিলা কলেজটি একটি অনন্য শিক্ষালয়ে পরিণত হবে ইনশা-আল্লাহ।